Sunday, February 26, 2012

বিস্তীর্ণ এপারে

ক্যালকাটা ইয়ুথ ক্য়ার - এর ভূপেন হাজারিকা অনেক দিন আগে "বিস্তীর্ণ দুপারে" নামের গানটা গেয়েছিলেন| আশির দশকে-র এই গান খুব ই জনপ্রিয় হয়েছিল| পরবর্তী কালে এই গান কে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদিত করা হয়| গানটি যে অন্য ভাষাতেও জনপ্রিয় হয়েছিল বলা বাহুল্য| গান-এর মর্ম কি সেটা হয়ত আমি ছোটবেলায় কিছুই বুঝিনি, কিম্বা হয়ত বোঝার চেষ্টাও করিনি, কিন্তু হালের এক ঘটনা আমাকে এই গানটির দু লাইন মনে পড়িয়ে দিল: 

... নৈতিকতার স্খলন দেখেও, মানবতার পতন দেখেও, নির্লজ্জ ভাবে তুমি বইছ কেন? ...

আজ কানপুর নগরে বসে, আমি এই রচনা টি লিখছি| কানপুর-এ আমার এই অষ্টম বছর. আমি যেখানে বসে, তার থেকে ৩-৪ কি. মি. দূরে মা গঙ্গা বয়ে যাছেন. নগরের নোংরা, আবর্জনা, অবসাদ সব ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছেন - যতটা পারেন আর কি? লিখতে লিখতে সুকুমার রায়-এর পাগলা দাশুর কথাও মনে পড়ছে| পাগলা দাশুর ক্যাবলা মার্কা কথা আর তার হম্বি তম্বি ভাব, ছোটবেলায় এই গল্পগুলো তো খুব ই হাসিয়েছে| সুকুমার রায়-এর এই চরিত্রটি নিছক ওনার কল্পনা না কারুর প্রতি ব্যঙ্গ সেটা আমার জানা নেই| 

দুঃখের কথা এই যে আজকালকার নেতা গোছের যারা উত্পন্ন হয়েছেন তাহারা এই পাগলা দাশুর চরিত্রের মতন-ই| দিনের বেলা কোনো কন্যার আলু-থালু বক্ষ যুগলের বিবরণে কিল্লল্লের প্রকাশ কিম্বা গামছার
নীচে দিয়ে উঁকি মারতে থাকা কোনো অধস্তন ব্যক্তির জননাঙ্গের আকারের সম্বন্ধে তারস্বরে বিবরণ, রাতের বেলা বসে সিগারেট, মদ টানা আর নিরর্থক কূটনীতি, এরাই হচ্ছে আজকালকার পাগলা দাশু| মাননীয় বিধান চন্দ্র রায় একদিন বলেছিলেন "আজ বাঙালিরা যা চিন্তন করবেন, কাল দেশ সেটা নিয়ে চিন্তন করবে"| সেটাই যদি ধরা হয়, তাহলে কি কাল ভারত দেশের কোনায়ে-কনায়ে পাগলা দাশু-রা ছেয়ে যাবে? চক্ষু চড়কগাছ করে দিচ্ছে এ ধারার চিন্তা! 

বাঙালিদের মধ্যে সর্বহারাদের রবিনহুড হবার চিন্তাধারা দেখা দিয়েছে| কিন্তু কথায় বলে "নিজের বেলায় আঁটিশাটি আর পরের বেলায় দাঁত ক পাটি?" এক পাগলা দাশুর মাঙ্কি ক্যাপ হারিয়ে গেছিল| দুদিন পরে দাশু দেখেন যে এক গরিব ছেলে ওই মাঙ্কি ক্যাপ টা পরে ঘুরছে| অমনি কেড়ে নিলেন, দুটি বকা লাগিয়ে ফেললেন, আর ফোঁশ - ফোঁশ করতে করতে নিজের বাড়িতে ঢুকলেন| কি লজ্জা কি লজ্জা! এই গল্প শুনে তো স্বয়ম রবিনহুড রেগে বোম হয়ে গেছিলেন!

আর - এক রবিনহুড তো কর্মচারীদের হাত থেকে চায়ের গ্লাস-ই কেড়ে নিলেন, বললেন তোমাদের তো দুধ খাওয়া বারণ, চা টা কি হাওয়া দিয়ে তৈরী হচ্ছে? হে মা ভবানী, এই রবিনহুডের গর্দান নাও! কর্মচারী সকাল সাড়ে ছটা-র থেকে রাত্তির ১০ টা পর্যন্ত ঘষ্টাছ্ছে, আর ওদের চা পর্য্যন্ত বরাদ্দ নয়? ছি ছি ছি! আগে শোনা গেছিল যে এই রবিনহুড একবার সরস্বতী পুজো-র মন্ডপ থেকে একজন কে এইজন্ন্যে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, কেননা ওই ভদ্রলোক বাঙালি নন! আর শোনা যাচ্ছে যে ইনিই নাকি বাঙালি দের নেতা| মধ্যান্য ভোজনে বসে, সেই বক্ষ যুগলের গল্প, আর বারান্দায় দাড়িয়ে জননাঙ্গের আকার বিশ্লেষণ, এই কি বাঙালি, এই কি আদর্শ বাঙালি নেতা?


বাঙালি দের প্রতি প্রার্থনা, এরকম পাগলা দাশু দের কখনই লাই দেবেন না, বরং পশ্চাতদেশে দুটো জুতোর বাড়ি মেরে খেদিয়ে দেবেন|

Sunday, January 01, 2012

2011: The year of silence


The reader might be puzzled owing to the title of the article. Each year, there is an experiment that I run on myself, regarding the terms that I would maintain with the people around. The ideas for these experiments often come from the experienced people. Some practices are successful and some, owing to the "human being" I am, fail.

The experiment this year was silence. There weren't many blogs this year, nor the despair and agony. Whims and egos were mostly responded through silence. Even some enquiries... Each year in my notes, I have been vocal about my achievements. This year, I choose to be silent about them. I will instead touch upon some of the remarkable incidents that happened this year.

Nirmali and Vivek decided to tie the knot this year and I seized the chance to travel to my home state Madhya Pradesh (not to the home town sadly). It was satisfying to taste the water and the food there. One could easily say "back to my mother's lap." It was also an opportunity for me to boast about the home state to friends who hailed from Bihar and Kerala, whom I had accompanied! Vivek, finally delivered his open seminar in the month of December and has left for his home town. Hope he will be reaching Tezpur pretty soon. May he find his "ideal industry" in 2012.

My friend and colleague Susham Biswas, finally defended his thesis. Finally relaxed, wasn't he? He left me with a question ... "When are you defending?"

The last bit of 2011 was a sad in the history of IIT Kanpur. People in the position of responsibility were blamed of being indulgent in their demanour, and some were found taking sides with their common sense gone for grazing the grass. People in the position of responsibility were found saying "I don't care what your feelings are!" I am reminded of Michael Jackson's song "They don't really care about us!" 2011 was a year, in which IIT Kanpur saw people threatening poor workers shivering with cold, that they would lose their jobs if they took broken twigs to warm up their homes.  

2011 taught that being angry and whimsical doesn't really help everytime, a suggestion that I recall to have given to one of my relatives, a year or two earlier. It also taught that criticism isn't the most welcome move for some people in this world, inspite of the fact that culturally, our country has earned its accolades and knowledge from being sceptical and curious. Often, in the absence of genuine arguments and logic, attributes like "Ghajni" and "Fatty" are easily earned.

The eve of the New Year was rainy ... and so was the first day of January. The celebrations of the New Year were dampened therefore. As this day passes, I hope wisdom, heath, health, happiness and sunshine spreads, in IIT Kanpur, India and the World in general.