ক্যালকাটা ইয়ুথ ক্য়ার - এর ভূপেন হাজারিকা অনেক দিন আগে "বিস্তীর্ণ দুপারে" নামের গানটা গেয়েছিলেন| আশির দশকে-র এই গান খুব ই জনপ্রিয় হয়েছিল| পরবর্তী কালে এই গান কে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদিত করা হয়| গানটি যে অন্য ভাষাতেও জনপ্রিয় হয়েছিল বলা বাহুল্য| গান-এর মর্ম কি সেটা হয়ত আমি ছোটবেলায় কিছুই বুঝিনি, কিম্বা হয়ত বোঝার চেষ্টাও করিনি, কিন্তু হালের এক ঘটনা আমাকে এই গানটির দু লাইন মনে পড়িয়ে দিল:
আজ কানপুর নগরে বসে, আমি এই রচনা টি লিখছি| কানপুর-এ আমার এই অষ্টম বছর. আমি যেখানে বসে, তার থেকে ৩-৪ কি. মি. দূরে মা গঙ্গা বয়ে যাছেন. নগরের নোংরা, আবর্জনা, অবসাদ সব ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছেন - যতটা পারেন আর কি? লিখতে লিখতে সুকুমার রায়-এর পাগলা দাশুর কথাও মনে পড়ছে| পাগলা দাশুর ক্যাবলা মার্কা কথা আর তার হম্বি তম্বি ভাব, ছোটবেলায় এই গল্পগুলো তো খুব ই হাসিয়েছে| সুকুমার রায়-এর এই চরিত্রটি নিছক ওনার কল্পনা না কারুর প্রতি ব্যঙ্গ সেটা আমার জানা নেই|
দুঃখের কথা এই যে আজকালকার নেতা গোছের যারা উত্পন্ন হয়েছেন তাহারা এই পাগলা দাশুর চরিত্রের মতন-ই| দিনের বেলা কোনো কন্যার আলু-থালু বক্ষ যুগলের বিবরণে কিল্লল্লের প্রকাশ কিম্বা গামছার নীচে দিয়ে উঁকি মারতে থাকা কোনো অধস্তন ব্যক্তির জননাঙ্গের আকারের সম্বন্ধে তারস্বরে বিবরণ, রাতের বেলা বসে সিগারেট, মদ টানা আর নিরর্থক কূটনীতি, এরাই হচ্ছে আজকালকার পাগলা দাশু| মাননীয় বিধান চন্দ্র রায় একদিন বলেছিলেন "আজ বাঙালিরা যা চিন্তন করবেন, কাল দেশ সেটা নিয়ে চিন্তন করবে"| সেটাই যদি ধরা হয়, তাহলে কি কাল ভারত দেশের কোনায়ে-কনায়ে পাগলা দাশু-রা ছেয়ে যাবে? চক্ষু চড়কগাছ করে দিচ্ছে এ ধারার চিন্তা!
বাঙালিদের মধ্যে সর্বহারাদের রবিনহুড হবার চিন্তাধারা দেখা দিয়েছে| কিন্তু কথায় বলে "নিজের বেলায় আঁটিশাটি আর পরের বেলায় দাঁত ক পাটি?" এক পাগলা দাশুর মাঙ্কি ক্যাপ হারিয়ে গেছিল| দুদিন পরে দাশু দেখেন যে এক গরিব ছেলে ওই মাঙ্কি ক্যাপ টা পরে ঘুরছে| অমনি কেড়ে নিলেন, দুটি বকা লাগিয়ে ফেললেন, আর ফোঁশ - ফোঁশ করতে করতে নিজের বাড়িতে ঢুকলেন| কি লজ্জা কি লজ্জা! এই গল্প শুনে তো স্বয়ম রবিনহুড রেগে বোম হয়ে গেছিলেন!
আর - এক রবিনহুড তো কর্মচারীদের হাত থেকে চায়ের গ্লাস-ই কেড়ে নিলেন, বললেন তোমাদের তো দুধ খাওয়া বারণ, চা টা কি হাওয়া দিয়ে তৈরী হচ্ছে? হে মা ভবানী, এই রবিনহুডের গর্দান নাও! কর্মচারী সকাল সাড়ে ছটা-র থেকে রাত্তির ১০ টা পর্যন্ত ঘষ্টাছ্ছে, আর ওদের চা পর্য্যন্ত বরাদ্দ নয়? ছি ছি ছি! আগে শোনা গেছিল যে এই রবিনহুড একবার সরস্বতী পুজো-র মন্ডপ থেকে একজন কে এইজন্ন্যে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, কেননা ওই ভদ্রলোক বাঙালি নন! আর শোনা যাচ্ছে যে ইনিই নাকি বাঙালি দের নেতা| মধ্যান্য ভোজনে বসে, সেই বক্ষ যুগলের গল্প, আর বারান্দায় দাড়িয়ে জননাঙ্গের আকার বিশ্লেষণ, এই কি বাঙালি, এই কি আদর্শ বাঙালি নেতা?
বাঙালি দের প্রতি প্রার্থনা, এরকম পাগলা দাশু দের কখনই লাই দেবেন না, বরং পশ্চাতদেশে দুটো জুতোর বাড়ি মেরে খেদিয়ে দেবেন|
... নৈতিকতার স্খলন দেখেও, মানবতার পতন দেখেও, নির্লজ্জ ভাবে তুমি বইছ কেন? ...
আজ কানপুর নগরে বসে, আমি এই রচনা টি লিখছি| কানপুর-এ আমার এই অষ্টম বছর. আমি যেখানে বসে, তার থেকে ৩-৪ কি. মি. দূরে মা গঙ্গা বয়ে যাছেন. নগরের নোংরা, আবর্জনা, অবসাদ সব ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছেন - যতটা পারেন আর কি? লিখতে লিখতে সুকুমার রায়-এর পাগলা দাশুর কথাও মনে পড়ছে| পাগলা দাশুর ক্যাবলা মার্কা কথা আর তার হম্বি তম্বি ভাব, ছোটবেলায় এই গল্পগুলো তো খুব ই হাসিয়েছে| সুকুমার রায়-এর এই চরিত্রটি নিছক ওনার কল্পনা না কারুর প্রতি ব্যঙ্গ সেটা আমার জানা নেই|
দুঃখের কথা এই যে আজকালকার নেতা গোছের যারা উত্পন্ন হয়েছেন তাহারা এই পাগলা দাশুর চরিত্রের মতন-ই| দিনের বেলা কোনো কন্যার আলু-থালু বক্ষ যুগলের বিবরণে কিল্লল্লের প্রকাশ কিম্বা গামছার নীচে দিয়ে উঁকি মারতে থাকা কোনো অধস্তন ব্যক্তির জননাঙ্গের আকারের সম্বন্ধে তারস্বরে বিবরণ, রাতের বেলা বসে সিগারেট, মদ টানা আর নিরর্থক কূটনীতি, এরাই হচ্ছে আজকালকার পাগলা দাশু| মাননীয় বিধান চন্দ্র রায় একদিন বলেছিলেন "আজ বাঙালিরা যা চিন্তন করবেন, কাল দেশ সেটা নিয়ে চিন্তন করবে"| সেটাই যদি ধরা হয়, তাহলে কি কাল ভারত দেশের কোনায়ে-কনায়ে পাগলা দাশু-রা ছেয়ে যাবে? চক্ষু চড়কগাছ করে দিচ্ছে এ ধারার চিন্তা!
বাঙালিদের মধ্যে সর্বহারাদের রবিনহুড হবার চিন্তাধারা দেখা দিয়েছে| কিন্তু কথায় বলে "নিজের বেলায় আঁটিশাটি আর পরের বেলায় দাঁত ক পাটি?" এক পাগলা দাশুর মাঙ্কি ক্যাপ হারিয়ে গেছিল| দুদিন পরে দাশু দেখেন যে এক গরিব ছেলে ওই মাঙ্কি ক্যাপ টা পরে ঘুরছে| অমনি কেড়ে নিলেন, দুটি বকা লাগিয়ে ফেললেন, আর ফোঁশ - ফোঁশ করতে করতে নিজের বাড়িতে ঢুকলেন| কি লজ্জা কি লজ্জা! এই গল্প শুনে তো স্বয়ম রবিনহুড রেগে বোম হয়ে গেছিলেন!
আর - এক রবিনহুড তো কর্মচারীদের হাত থেকে চায়ের গ্লাস-ই কেড়ে নিলেন, বললেন তোমাদের তো দুধ খাওয়া বারণ, চা টা কি হাওয়া দিয়ে তৈরী হচ্ছে? হে মা ভবানী, এই রবিনহুডের গর্দান নাও! কর্মচারী সকাল সাড়ে ছটা-র থেকে রাত্তির ১০ টা পর্যন্ত ঘষ্টাছ্ছে, আর ওদের চা পর্য্যন্ত বরাদ্দ নয়? ছি ছি ছি! আগে শোনা গেছিল যে এই রবিনহুড একবার সরস্বতী পুজো-র মন্ডপ থেকে একজন কে এইজন্ন্যে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, কেননা ওই ভদ্রলোক বাঙালি নন! আর শোনা যাচ্ছে যে ইনিই নাকি বাঙালি দের নেতা| মধ্যান্য ভোজনে বসে, সেই বক্ষ যুগলের গল্প, আর বারান্দায় দাড়িয়ে জননাঙ্গের আকার বিশ্লেষণ, এই কি বাঙালি, এই কি আদর্শ বাঙালি নেতা?
বাঙালি দের প্রতি প্রার্থনা, এরকম পাগলা দাশু দের কখনই লাই দেবেন না, বরং পশ্চাতদেশে দুটো জুতোর বাড়ি মেরে খেদিয়ে দেবেন|